দারিদ্রতার সাথে লড়াই করে মেডিক্যালে ৭১৬ র্যাঙ্ক করে রাতারাতি অজপাড়া গ্রামের শুকচাদ মন্ডল ফারাক্কাবাসীর নজর কাড়ল।
ধুলিয়ান ২৬ জুলাই :- ফরাক্কা :দারিদ্রতার সাথে লড়াই করে মেডিক্যালে ৭১৬ র্যাঙ্ক করে রাতারাতি অজপাড়া গ্রামের শুকচাদ মন্ডল ফারাক্কাবাসীর নজর কাড়ল।, এককথায় ভাঙা ঘরে চাদের আলো। ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন পূরনে অর্থনৈতিক সংকট পথের কাটা হয়ে দাঁড়ায় শুকচাদের।খবর পেয়ে মেধাবী ছাত্রের পাশে এসে দাড়ালেন ফরাক্কার বিশিষ্ট সমাজসেবি অরুনময় দাস। বুধবার সকালে গঙ্গার পুর্বপাড়ে অবস্থিত বিচ্ছিন্ন গ্রাম হোসেনপুর গ্রামের শুকচাদের বাড়ি ছুটে যান অরুনময় দাস। ভাঙা ঘরের অবস্থা দেখে অরুনময় বাবু মেধাবী ছাত্রের মেডিক্যাল পড়াশুনার সমস্ত দায়িত্বভার নিজ কাধে তুলে নিলেন। তিনি শুকচাদের পড়াশুনার জন্য একটি এনড্রয়েড মোবাইল ফোন, নগদ দশ হাজার টাকা ও পড়াশুনার জন্য যাবতীয় পুস্তক কিনে দেবার আশ্বাস দিলেন। পাশাপাশি মেধাবী ছাত্রের পড়াশুনার জন্য যাবতীয় খরচ বহন করবেন বলে জানান তিনি। ফরাক্কা ব্লকের বেনিয়াগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত। গঙ্গা নদী এই পঞ্চায়েতকে দ্বিখণ্ডিত করেছে। গঙ্গার পূরব পাড়ে এই হোসেনপুর গ্রাম। স্থানীয় বাসিন্দা গোপাল মন্ডল। বছর তেরো ন আগে কুলিদিয়ারে বাস ্করতেন। গঙ্গাগর্ভে গোপাল মন্ডলের বাড়ি তলিয়ে যায়। স্ত্রী ও পাচ ছেলেমেয়ে কে নিয়ে চলে আসেন হোসেনপুরে। কোনোক্রমে চাটাই ও টিন দিয়ে বসবাস শুরু করেন। অভাব অনটনের মধ্যেও গোপালবাবু পাচ ছেলেমেয়েকে নিয়ে স্কুলে ভর্তি করেন। চাষবাস তার একমাত্র পেশা। স্ত্রী মাধবি বিড়ি বেধে যা আয় করেন তাতে সাতজনের দু বেলা অন্ন জটানো দুস্কর। ছেলেমেয়েদের মানুষ করার স্বপ্ন নিয়ে দাদনে মুম্বাই পাড়ি দিয়েছেন বছর কয়েক আগে। গোপাল বাবুর বড় ছেলে অভাব অনটনের মধ্যে জয়েন্টে সারা দেশের মধ্যে ৭১৬ র্যাঙ্ক করে মেডিক্যালে ভর্তির সুযোগ পান। সন্তানের এই কৃতিত্বে গবিত মন্ডল দম্পতি। ছেলেকে পড়াশুনা করাতে যেটুকু জমি অবশিষ্ট ছিলো তা চড়া সুদে বন্দুক রাখা আছে এক প্রতিবেশির কাছে। ছেলেকে ডাক্তার করার জন্য যা অর্থ প্রয়োজন তা কোনোভাবেই জোগাড় করা সম্ভব নয়। চিন্তিত হয়ে পড়েন মন্ডল দম্পতি। দরিদ্র ছেলের অসামান্য সাফল্যের কথা কানে গিয়ে পৌছায় সমাজসেবি অরুনময় দাসের। তিনি ছুটে যান প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপেক্ষা করে শুকচাদের বাড়ি। তার বাড়ির পরিবেশ দেখে হতবাক হয়ে পড়েন তিনি। অরুনময়বাবু জানান, ভাবতে অবাক লাগছে এত দারিদ্রতার সাথে লড়াই করে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন শুকচাদের মাঝ পথে থেমে যাক তা মেনে নিতে পারলাম না। শুকচাদের মেডিক্যাল পড়ার যাবতীয় খরচ বহন করবো। তিনি শুকচাদকে প্রাথমিক ভাবে একটি এন্ড্রয়েড ফোন ও দশ হাজার টাকা তুলে দেন। মাধবী দেবিকে আশ্বাস্ত করলেন শুকচাদের ডাক্ত্রার হওয়ার স্বপ্নভার তিনি নিজ কাধে তুলে নিলেন। অরুনবাবু ফারাক্কার নুরুল হাসান কলেজে কেরানীর পদে কর্মরত।। অরুন বাবুর সহযোগীতায় খুশি মন্ডল দম্পত্তি। শুকচাদ জানান, বাবা সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছিলেন। চাষবাস তেমন হতো না। বাধ্য হয়ে দাদনের কাজে মুম্বাই চলে যায়। মেডিক্যালে সুযোগ পেয়ে আমি দারুন খুশি। কিন্তু খরচ বহন করা পরিবারের কাছে খুব কষ্টকর। অরুনবাবুর সহযোগীতায় ডাক্তার হওয়ার সুযোগ হতে চলেছে। মাধবীদেবী জানান, ছেলে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়েছে। সতি ভালো লাগছে। গরীব মানুষের যেখানে নুন আনতে পান্তা ফুরায়। সেখানে ডাক্তারি পড়ার খরচ সামলানো মোটেই সম্ভব নয়। অরুনবাবুর মতো হৃদয়বান মানুষেরা শুকচাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে আসায় আজ আমি মা হিসাবে গর্ববোধ করছি। ফরাক্কার বিডিও কেশাং ডেন্ডুপ ভুটিয়া জানান, বিষয়টি জানানছিলনা। শুকচাদের পড়াশুনার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা সব রকম সহযোগীতা করবো।
সূত্রঃ- Sahajad Hossain
Reviewed by Dhuliyan City
on
04:18
Rating:
Ami arundada and sukhchand ke big big congraluation
ReplyDelete