ধুলিয়ান শহর
কাঞ্চনতলা জে. ডি. জে. ইনস্টিটিউশন" এর ১২৩ বছর পুরোনো ভবনের স্মরণে
খালি পায়ে কলেজ যাত্রা থেকে ইসরোর চেয়ারম্যান, অনুপ্রেরণা দেবে শিবনের জীবনযুদ্ধ
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি ইসরোর চেয়ারম্যান। মহাকাশ গবেষণায় ভারতের অভূতপূর্ব সাফল্যের অন্যতম কারিগর। চাঁদের এক্কেবারে কাছে পৌঁছে যাওয়া থেকে শুরু করে গগণযানের প্রস্তুতি। সবকিছুর পিছনে রয়েছে ডঃ কৈলাসাভাদিভো শিবনের প্রখর মস্তিষ্ক। একদিকে রাজনৈতিক চাপ, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। দু’দিক সামাল দিয়ে যেভাবে চন্দ্রযান মিশন ৯৫ শতাংশ সফল হয়েছে, সেটাও তো কম কথা নয়। তাই, নিঃসন্দেহে ইসরোর চেয়ারম্যানের প্রশংসা প্রাপ্য। আসলে, লড়াইটা তিনি ছোটবেলা থেকেই শিখে এসেছেন। তাঁর স্কুলজীবন থেকে শুরু করে কলেজজীবন পর্যন্ত চরম দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে যেভাবে তিনি ইসরোর চেয়ারম্যান পদ পর্যন্ত পৌঁছেছেন, তা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত করার মতো।
এক প্রান্তিক কৃষক পরিবারে ১৯৫৭ সালে জন্ম শিবনের। ছোটবেলায় এতটায় আর্থিক অনটনের মধ্যে দিন কেটেছে, যে পায়ে দেওয়ার মতো চটি বা জুতো কেনারও সামর্থ্য ছিল না। স্কুলে পড়াকালীন বাবার আম বাগানেও কাজ করতে হত। ছুটির দিনে তিনি খালি পায়ে আমবাগান পাহারা দিতেন। কাজ করতেন অন্য খেতেও। এমনকী কলেজে পড়াকালীনও আধুনিক পোশাক-আশাক কেনার মতো সামর্থ্য ছিল না শিবনের পরিবারের। দীর্ঘদিন তিনি কলেজ যেতেন ধুতি পরে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিবন একবার বলেন, “ছোটবেলায় আমার জীবন খুব মজার ছিল। স্কুলের পাশাপাশি আমাকে ফসলের খেতেও কাজ করতে হত। আমার বাবা কৃষক। আমের মরশুমে উনি আমের ব্যবসাও করতেন। ছুটির সময় আমি যখন বাড়িতে থাকতাম আমার বাবা কোনও শ্রমিক রাখতেন না। আমি তাঁকে সাহায্য করতাম।”
নিজের কলেজ জীবন নিয়ে শিবন বলেন,”এমনিতে পড়ুয়ারা কলেজ বাছেন নিজেদের পছন্দমতো। কিন্তু, আমার ক্ষেত্রে কলেজ বাছার শর্ত ছিল, কলেজটিকে আমার বাড়ির কাছে হতে হবে। আমি মাদ্রাজ আইআইটিতে ভরতি হওয়ার পর্যন্ত খালি পায়ে হাঁটতাম। এমনকী আমাদের পাজামাও ছিল না। ধুতি করেই চলত। আসলে, আমি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চেয়েছিলাম। কিন্তু, আমার বাবা বলেন, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া খরচসাপেক্ষ। আমি প্রতিবাদ করি। এমনকী এক সপ্তাহ না খেয়ে ছিলাম। কিন্তু, তাতেও আমার বাবাকে টলাতে পারিনি। শেষ পর্যন্ত নিজেই মত বদলাই। তারপর অঙ্ক নিয়ে বিএসসি করি। বিএসসি পাশ করার পর বাবা বললেন, আমি একবার তোমাকে আটকেছি, আর আটকাব না। নিজের জমি বিক্রি করে তোমাকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াব।”
ইসরো চেয়ারম্যান বলেন,”এরপরই আমি বি-টেক করি। তারপর বেশ কিছুদিন চাকরির অভাবে ভুগেছি। সেসময় একমাত্র হ্যালেই চাকরির সুযোগ ছিল। কিন্তু আমি চাকরিটা পায়নি। তাই আরও পড়াশোনা করি। আইআইএসসি-তে ভরতি হই।” ইসরো প্রধান আক্ষেপ করেন, “আমি জীবনে যা চেয়েছি, তা কখনও পায়নি। আমি চেয়েছিলাম উপগ্রহ কেন্দ্রে যোগ দিতে, কিন্তু, আমার পোস্টিং হল বিক্রম সারাভাই সেন্টারে।”
লক্ষ্মী ছেলেরা কাজে যোগ দাও: অনুরোধ মুখ্যমন্ত্রীর, ১০ সিদ্ধান্তের পরে উঠছে ধর্মঘট
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কোনও ঘটনা ঘটলেই কড়া ব্যবস্থা। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরেই কার্যত ধর্মঘট তোলার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন নবান্নের বৈঠকে হাজির জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিরা। তবে এখনও বাকি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। আর মুখ্যমন্ত্রীও জানিয়ে দিয়েছেন, ধর্মঘট উঠে গেলেই বিক্ষোভাকারীদের দাবি মতো তিনি আহত চিকিৎসক পরিবহ মুখোপাধ্যায়কে দেখতে যাবেন।
এদিনের বৈঠক এক গুচ্ছ সিদ্ধান্তও নিয়েছে রাজ্য সরকার। দেখে নিন এক নজরে–
• ভবিষ্যতে এই ধরনের হামলার ঘটনা যাতে না ঘটে, সে দিকে নজর রাখবে প্রশাসন। যদি ঘটেও থাকে, তা হলে সঙ্গে সঙ্গে কড়া পদক্ষেপ।
• গোটা রাজ্য একটি জরুরিভিত্তিক নম্বর এবং ই-মেল আইডি চালু করা হবে যেখানে বিপদে পড়লে চিকিৎসকরা জানাবেন।
• নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যাপারে পুলিশ পদক্ষেপ না করলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে সাসপেন্ড।
• হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নে যে যে প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ হয়েছে, সেগুলি কী পরিস্থিতিতে রয়েছে, কতটা অগ্রগতি হয়েছে, তা যাচাই করা হবে।
• রোগী কল্যাণ সমিতিতে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
• অনেক সরকারি হাসপাতালে গেট নেই। সর্বত্র গেট তৈরি হবে।
• জরুরি বিভাগে থাকবে একটি করে কোলাপসিবল গেট। তার ভিতরে দু’জনের বেশি রোগীর আত্মীয় ঢুকতে পারবে না।
• চিকিৎসকদের উপরে আক্রমণ ঠেকাতে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেবে সরকার।
• রোগীদের আত্মীয়দের জন্য সরকারের যে গ্রিভ্যান্স সেল বা অভিয়োগ গ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে, সে গুলিকে আরও সক্রিয় ও দৃশ্যমান করা হবে।
• চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে কলকাতা ও জেলায় জেলায় একজন করে নোডাল অফিসার রাখবে পুলিশ।