বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব
সিরাজ-উদ-দৌলা (জন্মঃ- ১৭৩২ - মৃত্যুঃ- ২ জুলাই, ১৭৫৭)
আলীবর্দী খাঁ যখন পাটনার শাসনভার লাভ করেন, তখন তাঁর তৃতীয়া কন্যা আমেনা বেগমের গর্ভে সিরাজের জন্ম হয়। এ কারণে নবাব সিরাজের জন্মকে সৌভাগ্যের লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করে আনন্দের আতিশয্যে নবজাতককে পোষ্যপুত্র হিসেবে গ্রহণ করেন। তিনি মাতামহের স্নেহ-ভালোবাসায় বড় হতে থাকেন। সিরাজের পিতা ছিলেন জৈনুদ্দিন আহমেদ খান। ১৭৪৬ খ্রিষ্টাব্দে মারাঠাদের বিরুদ্ধে আলীবর্দী খান -এর যুদ্ধের সময় কিশোর সিরাজদ্দৌলা তার সাথী হন। আলীবর্দী সিরাজদ্দৌলাকে বালক বয়সেই পাটনার শাসনকর্তা নিযুক্ত করেছিলেন। সে সময় তাঁর হয়ে রাজা জানকীরাম রাজপ্রতিনিধিত্ব করতেন। কিন্তু বিষয়টি সিরাজদ্দৌলাকে সন্তুষ্ট করতে পারে নি। তাই তিনি একদিন গোপনে কয়েকজন বিশ্বস্ত অনুচরকে নিয়ে ভ্রমণের নাম করে স্ত্রী লুৎফুন্নেসাকে সঙ্গে নিয়ে মুর্শিদাবাদ থেকে বের হয়ে পাটনা উপস্থিত হন এবং জানকীরামকে তাঁর শাসনভার ছেড়ে দেওয়ার আদেশ দেন। কিন্তু নবাবের বিনা অনুমতিতে জানকীরাম তাঁর শাসনভার ছেড়ে দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে দুর্গের দ্বার বন্ধ করে বৃদ্ধ নবাবের কাছে বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে দূত পাঠান। অন্যদিকে জানকীরামের আচরণে ভীষণ ক্ষুদ্ধ হয়ে সিরাজদ্দৌলা দুর্গ আক্রমণ করেন। উভয়পক্ষে লড়াই শুরু হয়ে গেলে হতাহতের ঘটনাও ঘটে। ঘটনার সংবাদ পেয়ে আলীবর্দী খাঁ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। সেদিনই আলীবর্দী খাঁ দুর্গের অভ্যন্তরস্থ দরবারে স্নেহভাজন দৌহিত্রকে পাশে বসিয়ে ঘোষণা দেন, সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হিসেবে সিরাজদৌল্লার নাম ঘোষণা করেন। ১৭৫২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি হুগলী ভ্রমণ করেন। এ সময় ইংরেজ, ওলন্দাজ ও ফরাসি কোম্পানির প্রেসিডেন্টরা তাঁকে সম্মান প্রদর্শন করেন। ১৭৫৬ খ্রিষ্টাব্দে নবাব আলীবর্দী খান মুর্শিদাবাদে মৃত্যবরণ করেন। আলীবর্দী খান-এর পূর্ব ঘোষণা অনুসারে সিরাজদৌল্লা সিংহাসন লাভ করেন। সিংহাসন লাভের পর, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেন তাঁর খালা ঘষেটি বেগম। সে সময় পুর্নিয়ার শাসনকর্তা ছিলেন শওকত জঙ্গ। সিংহাসন লাভের পর সিরাজদৌল্লা ঘষেটি বেগমের সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেন। এরপর তিনি শওকত জঙ্গের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করেন। কিন্তু নবাবের আদেশ উপেক্ষা করে, কলকাতায় ইংরেজরা দুর্গ নির্মাণ করেছে, এই সংবাদ পেয়ে তিনি এই যুদ্ধযাত্রা বন্ধ করে ফিরে আসেন। ১৭৫৬ খ্রিষ্টাব্দ সিরাজদ্দৌলা প্রায় ৩০ হাজার সৈন্যের একটি বিশাল বাহিনী নিয়ে ইংরেজেদের শায়েস্তা করার জন্য অগ্রসর হন। এই অভিযানে প্রথমে তিনি ১৭ই মে কাশিমবাজার কুঠি দখল করেন। নবাবের বাহিনী ১৬ জুন ইংরেজদের ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ অবরোধ করে। দুই দিন যুদ্ধের পর, ১৯ জুনে ইংরেজ সেনাপতি এবং গভর্নর ড্রেক ইংরেজদের একটি বড় অংশকে সাথে নিয়ে পালিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত প্রায় ১৭০ জন সৈন্য দুর্গে থেকে যায়। এই ক্ষুদ্র বাহিনী নিয়ে হলওয়েল দুর্গের ভিতর থেকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু নবাবের বন্দুকধারী সৈন্যদের আক্রমণের মুখে অধিকাংশ ওলন্দাজ সৈন্য পালিয়ে যায় এবং নবাবের বাহিনীতে যোগদান করে। ২০ জুন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ২০ জন ইংরেজ সৈন্য নিহত এবং ৭০ জন আহত হয়। সন্ধ্যায় নবাবের সৈন্যরা দুর্গের দেওয়ালে সরাসরি কামানের গোলা নিক্ষেপ করতে সক্ষম হয়। এই সময় জনৈক ওলন্দাজ সৈন্য নদী মুখের দুর্গ তোড়ন খুলে দেয়। এই পথে নবাবের সৈন্যরা দুর্গে প্রবেশ করে। উপায়ন্তর না দেখে হলওয়েল আত্মসমর্পণ করে।
সিরাজদ্দৌল্লা মানিকচাঁদের হাতে কলকাতার শাসনভার অর্পণ করে ১২ই জুলাই তিনি মুর্শিদাবাদে ফিরে আসেন। এরপর ইংরেজ কাউন্সিল এ্যাডমিরাল ওয়াটসন ও রবার্ট ক্লাইভকে একটি নৌবহর কলকাতা পুনরুদ্ধারের জন্য প্রেরণ করেন। এই সময় নবাবের কোনো বড় সেনাবাহিনী কলকাতায় ছিল না। ফলে ক্লাইভ প্রায় বিনাযুদ্ধে কলকাতা জয় করেন। এই সংবাদ পাওয়ার পর, সিরাজদ্দৌল্লা ১৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দে দ্বিতীয় বারের মতো কলকাতা আক্রমণ করেন। কয়েকদিন যুদ্ধের পর, উভয় পক্ষ শান্তি আলোচনায় সম্মত হন। ৪ঠা ফেব্রুয়ারি উভয়ে পক্ষের ভিতর সন্ধিপত্র স্বাক্ষরিত হয়। একে আলীনগর সন্ধি নামে অভিহিত করা হয়। এই সন্ধির শর্তানুসারে, নবাব দিল্লির সম্রাটের দেওয়া সকল বাণিজ্যিক সুবিধা ইংরেজদের দেন। কলকাতায় দুর্গ নির্মাণে অনুমতি দেন। এবং কোম্পানি নিজের নামে মুদ্রা প্রচলনের অধিকার লাভ করে। কিন্তু ইংরেজরা এই সন্ধিপত্র মানা প্রয়োজন মনে করে নাই। ১৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দে নবাবের আদেশ লঙ্ঘন করে ইংরেজরা চন্দননগররের ফরাসি কুঠি আক্রমণ করে। এই সময় আহম্মদশাহ আবাদলী দিল্লি আক্রমণ করে লুটতরাজ করে। এতে শঙ্কিত হয়ে সিরাজদ্দৌল্লা ইংরেজদের সাথে নতুন যুদ্ধে যেতে সাহসী হন নি। ফলে সহজেই ইংরেজরা ফরাসী কুঠি দখল করে নেয়। পলাতক ফরাসিরা মুর্শিদাবাদে আশ্রয় নেয়। এছাড়া সিরাজ ইংরেজদের শায়েস্তা করার জন্য দাক্ষিণাত্যের বুসির সাথে পত্রালাপ করেন। ইংরেজরা তাদের রাজত্ব কায়েম রাখার জন্য সিরাজকে অপসারণের জন্য দেশীয় ক্ষমতালোভীদের সাথে ষড়যন্ত্র শুরু করে। এই দলে জগৎশেঠ, মীরজাফর, রাজবল্লভ, রায়দুর্লভ, উমিচাঁদ যোগ দেয়। তারা সিরাজের পরিবর্তে মীরজাফরকে নবাব বানানোর ষড়যন্ত্র শুরু করে। এই সময় মীরজাফর ছিলেন বাংলার প্রধান সেনাপতি। সিরাজ কর্তৃক ক্রমাগত অপমানের কারণে সে সিরাজের বিপক্ষে চলে যায়। ক্লাইভের কাছে এদের এই ষড়যন্ত্রের কথা প্রকাশ পেলে, ক্লাইভ এদের সাহায্যদানে অঙ্গীকার করেন। ১৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দের জুন মাসে কুচক্রীদের সাথে ইংরেজদের দুটি চুক্তি হয়। এই চুক্তির একটি ছিল আসল, অপরটি জাল।
আসল চুক্তিতে ছিল, মীরজাফর নবাব হলে সিরাজ-প্রদত্ত সকল বাণিজ্যিক সুবিধা ইংরেজদের দেওয়া হবে। বাংলাদেশ থেকে ফরাসীদের বিতারিত করবে। সিরাজের কলকাতা আক্রমণের ফলে কলকাতাবাসীর যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, তা প্রদান করা হবে। এই চুক্তির সময় উমিচাঁদের স্বার্থের ব্যাপারটি বাদ দেওয়া হয়। উমিচাঁদ উপযুক্ত পুরস্কার না পেলে, এই ষড়যন্ত্রের কথা সিরাজ জানিয়ে দেবে এই হুমকি দিলে, আর একটি জাল পত্র তৈরি করা হয়। এই পত্রে উমিচাঁদের উপযুক্ত পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
এই চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর, ক্লাইভ সামান্য অজুহাতে সিরাজের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। সিরাজ এই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিলেন। ২৩শে জুন ভাগীরথী নদীর তীরে পলাশীর প্রান্তরের যুদ্ধ শুরু হয়। নবাবের পক্ষে সৈন্য ছিল প্রায় ৫০,০০০। নবাবের মূল বাহিনীতে ছিল ৫০টি কামান। ফরাসি সেনাপতি সিনফ্রে-এর অধীনে ছিল ৪টি কামান।
পক্ষান্তরে ইংরেজদের পক্ষে সৈন্য ছিল মাত্র ৩,০০০। কামান ছিল ৮টি। কিন্তু মীরজাফর, রায়দুর্লভ এই যুদ্ধে নিরপেক্ষ থেকে দর্শকের ভূমিকায় থাকেন। নবাবের পক্ষে যুদ্ধ করেন মীরমদন, মোহনলাল এবং সিনফ্রে নামক ফরাসি সেনাপতি। যুদ্ধের প্রথমাবস্থায় নবাব বাহিনী জয়লাভ করে। এই সময় মীরজাফরের পরামর্শে নবাব যুদ্ধবিরতির আদেশ দেন। যুদ্ধ বিরতির সময়, ইংরেজরা আকস্মিক আক্রমণ করলে, নবাবের সেনাবাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়। সিরাজ কোনোক্রমে রাজধানীতে ফিরে এসে অর্থ বিতরণ করে সৈন্য সংগ্রহের উদ্যোগ নেন। এরা অর্থগ্রহণ করে নবাবের সাহায্যের পরিবর্তে আত্মগোপন করে। পরে নিরুপায় হয়ে সিরাজৌদ্দালা স্ত্রীকন্যাকে সাথে নিয়ে রাজধানী ত্যাগ করেন। রাজমহলের কাছে সিরাজ সপরিবারের ধরা পড়েন। এরপর মীরাজাফরের পুত্র মীরনের নির্দেশে সিরাজকে হত্যা করা হয়। এরপর ইংরেজরা বাংলার সিংহাসনে মীরজাফরকে অধিষ্ঠিত করেন।
সাড়ে চারশ’ দিনের ঘটনাপ্রবাহ (সংক্ষেপিত)
১৭৫৬ সাল : নবাব আলীবর্দী খানের মৃত্যু। বাংলার মসনদে নবাব সিরাজউদ্দৌলার আরোহণ। সিরাজউদ্দৌলার বয়স তখন মাত্র তেইশ বছর।
১৭৫৬ সালের এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ : ইউরোপে সপ্তবর্ষব্যাপী যুদ্ধের অজুহাতে বাংলায় ইংরেজ ও ফরাসিদের দুর্গ নির্মাণ। নবাবের আদেশে ফরাসি দুর্গ নির্মাণ বন্ধ হলেও ইংরেজদের দুর্গ নির্মাণ অব্যাহত।
১৬ মে, ১৭৫৬ সাল : বিদ্রোহী শওকত জঙ্গকে দমনের উদ্দেশে পুর্নিয়ায় নবাব সিরাজউদ্দৌলার সামরিক অভিযান।
২০ মে, ১৭৫৬ সাল : নবাব সিররাজউদ্দৌলা রাজমহল পৌঁছেছেন। গভর্নর ড্রেকের চিঠি হস্তগত। চিঠিতে দুর্গ নির্মাণ বন্ধের কোনো কথা নেই।
১৬ জুন, ১৭৫৬ সাল : ক্রুদ্ধ নবাব সিরাজউদ্দৌলা পুর্নিয়া না গিয়ে মুর্শিদাবাদে ফিরে এলেন। কলকাতায় ইংরেজদের দমনের উদ্দেশে সসৈন্যে যাত্রা। পথে কাশিমবাজার কুঠি দখল।
২০ জুন, ১৭৫৬ সাল : কলকাতার দুর্গ নবাব সিরাজউদ্দৌলার দখলে। গভর্নর ড্রেক ও অন্যান্য ইংরেজদের পলায়ন। গভর্নর হলওয়েলের আত্মসমর্পণ।
১৬ অক্টোবর, ১৭৫৬ সাল : পুর্নিয়ার নবাবগঞ্জে বিদ্রোহী শওকত জঙ্গের সঙ্গে নবাব সিরাজউদ্দৌলার যুদ্ধ। যুদ্ধে শওকত জঙ্গ পরাজিত ও নিহত।
১৫ ডিসেম্বর, ১৭৫৬ সাল : মাদ্রাজ থেকে ক্লাইভ ও অ্যাডমিরাল ওয়াটসনের অধীনে একদল সৈন্যের ফলতা আগমন ও ড্রেকের সঙ্গে যোগদান।
২৭ ডিসেম্বর, ১৭৫৬ সাল : ইংরেজ সৈন্য ও নৌবহরের কলকাতা অভিমুখে যাত্রা
২ জানুয়ারি, ১৭৫৭ সাল : ইংরেজদের কলকাতা পুনর্দখল।
৩ জানুয়ারি ১৭৫৭ সাল : দখলদার ইংরেজ বাহিনীর আগমনের সংবাদ পেয়ে নবাব সিরাজউদ্দৌলা কলকাতা অভিমুখে যুদ্ধযাত্রা।
১০ জানুয়ারি, ১৭৫৭ সাল : রবার্ট ক্লাইভ হুগলি শহর দখল করে লুটতরাজ শুরু করে। পার্শ্ববর্তী গ্রাম জনপদ জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দেয়।
১৯ জানুয়ারি, ১৭৫৭ সাল : নবাব সিরাজউদ্দৌলার হুগলি আগমন। ইংরেজদের কলকাতা প্রস্থান।
৩ ফেব্রুয়ারি, ১৭৫৭ সাল : নবাব সিরাজউদ্দৌলা কলকাতার শহরতলী আমির চাঁদের বাগানে শিবির স্থাপন করেন।
৫ ফেব্রুয়ারি, ১৭৫৭ সাল : নবাব সিরাজউদ্দৌলার শিবির আক্রমণ করে ক্লাইভ ও ওয়াটসন শেষ রাতে সিরাজবাহিনী পাল্টা আক্রমণ চালালে ক্লাইভ পিছু হটেন।
৯ ফেব্রুয়ারি, ১৭৫৭ সাল : নবাব সিরাজউদ্দৌলার সঙ্গে ইংরেজদের আলীনগরের সন্ধি
২৩ মার্চ ১৭৫৭ সাল : ক্লাইভ কর্তৃক ফরাসি ঘাঁটি ও বাণিজ্য কেন্দ্র চন্দন নগর দখল।
২৩ জুন, ১৭৫৭ সাল : ভাগীরথী নদীর তীরে পলাশির প্রান্তরে নবাব সিরাজউদ্দৌলার বাহিনীর সঙ্গে রবার্ট ক্লাইভের নেতৃত্বে ইংরেজ বাহিনীর যুদ্ধ।
পলাশীর যুদ্ধ , ২৩ জুন ১৭৫৭
নবাব সিরাজউদ্দৌলার পক্ষ
১। সৈন্যসংখ্যা ৫০ হাজার।
এর মধ্যে পদাতিক ৩৫ হাজার,
অশ্বারোহী ১৫ হাজার
২। মোট কামান ৫৩ টি
৩। ফরাসি সেনাপতি মঁসিয়ে দ্য সিনফ্রের অধীনে
৪ টি কামান ও ৪৫ জন ফরাসী সৈন্য।
রবার্ট ক্লাইভের পক্ষ
১। সৈন্য সংখ্যা ৩ হাজার
এর মধ্যে ভাড়াটে দেশীয় সিপাহি ২১০০, ইউরোপীয়ান- ৯৫০ জন, ১৫০ জন গোলন্দাজ,
২। মোট কামান ৬ টি
৩। মীরজাফর
যুদ্ধে বিশ্বাসঘাতক সেনাপতি মীরজাফরের চক্রান্তে এক বিশাল সৈন্যবাহিনী যুদ্ধ থেকে বিরত থাকে। মীরমদন ও মোহন লাল তাদের অধীন স্বল্পসংখ্যক সৈন্য নিয়ে প্রাণপণ যুদ্ধ করেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।
২৬ জুন, ১৭৫৭ সাল : নবাব হিসেবে মীরজাফর আলী খানের অভিষেক।
২৯ জুন, ১৭৫৭ সাল : মীরজাফরের সিংহাসনে আরোহণ
৩০ জুন, ১৭৫৭ সাল : রাজমহলে নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে গ্রেফতার।
২ জুলাই, ১৭৫৭ সাল : শৃঙ্খলিত অবস্থায় নাবব সিরাজউদ্দৌলাকে মুর্শিদাবাদে আনয়ন। রাতে মীরজাফরের পুত্র মীরনের আদেশে ঘাতক মোহাম্মদী বেগের ছুরিকাঘাতে নবাব সিরাজউদ্দৌলা মৃত্যু বরণ করেন।
সংগৃহিত
Reviewed by Dhuliyan City
on
10:18
Rating:
No comments: