সামশেরগঞ্জে হটাৎ করে এমন সমস্যা হল কেন?

ধুলিয়ান ১ জুলাই :- সামশেরগঞ্জের বেশ কিছু জায়গায় কিছুদিন থেকে বিদ্যুতের বিশাল সমস্যা চলছে।বারবার ট্রান্সফর্মা পুড়ে যাওয়া থেকে শুরু করে দফায় দফায় লোডশেডিং,বিশেষ করে রাতে প্রচন্ড লো ভোল্টেজ ও লাইন সিরিজ সহ নানা সমস্যা লেগেই আছে।উন্নয়নের যুগে এবং বদলে যাওয়া সামশেরগঞ্জে হটাৎ করে এমন সমস্যা হল কেন?
          বর্তমানে বহুল প্রচলিত যানবাহন টুকটুকি।ব্যাটারি চালিত ছোট যানবাহন।৪ জন যাত্রী বহনে সক্ষম ।সামশেরগঞ্জে কয়েক হাজার ব্যাটারি চালিত এই টুকটুকি গাড়ি চলছে।আমাদের সামশেরগঞ্জে বছর খানেক আগেও এই রিক্সা তেমন চল ছিল না।কিন্তু এখন অলিতে গলিতে এই ব্যাটারি চালিত রিকশা চলছে।মানুষ চালিত রিক্সার চেয়ে এই রিক্সাগুলো ভালো। একটা দরিদ্র মানুষকে পাশবিক শ্রম থেকে বাচিয়ে দিচ্ছে এই প্রযুক্তি । অনেক বেকার ছেলের জীবন জীবিকা জড়িত।যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ব্যাপক হারে বেড়েছে এই রিকশা।এই রিকশা আসার ফলে বেকার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।পাবলিক পরিবহন ব্যবস্থারও আমূল মেজাজ পাল্টে দিয়েছে এই টুকটুকি।অল্প খরচে খুব সহজে হালকা দূরের গন্তব্যে পৌঁছনো যাচ্ছে।'ইউনিয়ন' নাম দিয়ে তোলা আদায়ের মাধ্যমে শোষণও চলছে।চালকেরা নানা কারণে তোলা দিতে বাধ্য হয়।অভিযোগ,প্রশাসনের মদতে চলে এই তোলাবাজি।
এই টুকটুকি রিক্সার চালন শক্তিই হল ব্যাটারি।ফলে প্রতিদিন ব্যাটারি চার্জ করতে হয়।সারাদিন গাড়ি চালিয়ে রাতে চার্জ করে সকল গাড়ি চালক।একটি রিকশা ফুল চার্জ হতে বিদ্যুৎ খরচ হয় প্রায় ৭ ইউনিট।তাহলে ধুলিয়ান সহ সামশেরগঞ্জে কয়েক হাজার টুকটুকি প্রতিদিন চার্জ করতে কয়েক হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে।বিদ্যুৎ সরবরাহ বিভাগ আলাদা করে তো আর ব্যাটারি চার্জ করার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বৃদ্ধি করেনি সাধারণ আলো পাখা জ্বালানোর জন্য যে সরবরাহ দরকার হয় সেটা থেকে এই টুকটুকি চার্জ করা হচ্ছে।এই ব্যাটারি চার্জের জন্য বিদ্যুৎ বেশির ভাগই চুরি করে করা হচ্ছে।কিছু জায়গায় অবৈধ ভাবে বিদ্যুৎ চুরি করে ব্যাবসায়িক ভাবে ব্যাটারি চার্জ পয়েন্ট অবধি গড়ে উঠছে।হাতে গোনা কিছু সৎ চালক বৈধ সংযোগ থেকেও চার্জ করছে।গ্রামের দিকে ৬৩ kv বা ১০০ kv ট্রান্সফর্মা লাগানো থাকে।বিদ্যুৎ বিভাগের নজরদারির অভাব ও উদাসীনতায় হুকিং করে এমনিতেই বিদ্যুৎ চুরি হয় তার উপর এই টুকটুকি চার্জ সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলেছে। বিদ্যুৎ বিভাগ এতই অলস এবং নিষ্কর্মা যে সামান্য ফিউজ সারাতে ঠিক সময়ে আসেনা।বহরমপুরের কল সেন্টারের ফিউজ সারানোর আবেদন করতে হয়।এবেলা আবেদন করে ঐ বেলা বিদ্যুৎ কর্মীরা ফিউজ সারাতে আসে।স্থানীয় মানুষেরাই নিজে ফিউজ সারিয়ে নিতে বাধ্য হয়।
আসল বিষয় হচ্ছে ট্রান্সফরমারের লোড ক্যাপাসিটির বাইরে যদি বহুল পরিমানে বিদ্যুৎ ব্যবহার হয় তাহলে লো ভোল্টেজ বা ট্রান্সফর্মা বিকলের মতো সমস্যা হবেই এবং সেটাই হচ্ছে।সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়?
প্রথমত,পুরসভা ও পঞ্চায়েত গুলির মাধ্যমে ব্যাটারি চালিত টুকটুকি রিক্সার রেজিস্ট্রেশন করে নিয়ন্ত্রণ করা ও ব্যাটারি চালিত রিক্সা র বদলে সোলার প্যানেল যুক্ত রিক্সার ব্যবহারে জোর দেওয়া।আপাতত যতদিন এসব না হচ্ছে ততদিন বিদ্যুৎ বিভাগের উচিত বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাবস্থার উন্নতি করা ও অবৈধ বিদুৎ চুরি বন্ধ করা।যুগের সাথে তালমিলিয়ে চলতে গিয়ে ট্রেনে যেমন মোবাইল ল্যাপটপ চার্জিং পয়েন্ট থাকে তেমনই বিদ্যুৎ বিভাগের বিশেষ উদ্যোগে সরকারি ভাবে নানা জায়গায় টুকটুকি চার্জিং পয়েন্ট করা।

‌◆◆◆মোতাহার আলি◆◆◆

Source :- https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1282371495231943&id=100003773134376

সামশেরগঞ্জে হটাৎ করে এমন সমস্যা হল কেন? সামশেরগঞ্জে হটাৎ করে এমন সমস্যা হল কেন? Reviewed by Dhuliyan City on 10:20 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.