অবিবাহিত মেয়ের পিরিওড বন্ধ হয়ে গেছে। রোগী প্রেগনেন্সি টেস্ট পজেটিভ।

অনেক সময় দেখা যায় অবিবাহিত মেয়ের পিরিওড বন্ধ হয়ে গেছে। ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার বললো প্রেগনেন্সি টেস্ট করে নিয়ে আসুন । এমতাবস্থায় প্রথমে হয়তো রোগীর লোক বলবে রোগী অবিবাহিত। এখনও বিয়ে হয়নি, বাচ্চা কিভাবে হবে ডাক্তার তখন জোর দিয়ে বলবে আগে টেস্ট করে নিয়ে আসুন
তারপর রোগী দেখবো, না হলে দেখবোনা। রোগী যাবে টেস্ট করাতে।

এবার দেখা গেলো রোগী প্রেগনেন্সি টেস্ট পজেটিভ। বাড়ির লোক অবাক, রোগী অজ্ঞান।
তখন স্বাভাবিক ভাবেই রোগীর বক্তব্য থাকবে,
আমি কিছু করিনি। রোগীর লোকের বক্তব্য, কিছু করিসনি তো বাচ্চা কোথা থেকে এলো।
ডাক্তারের কাছে রোগী কাঁদতে কাঁদতে বলবে, বিশ্বাস করেন ডাক্তার সাহেব আমি কিছুই করিনি। বাচ্চা কোথা থেকে এলো আমি জানিনা।

রোগীর লোক যদি জীন বিশ্বাসী হয় তবে বলে দেবে জীনের বাচ্চা ওটা কিন্তু ডাক্তারের কেরামতি এখনও বাকি আছে।ডাক্তার তখন আলট্রাসনোগ্রাফির সাহায্য নেবে। আলট্রাসনোগ্রাফিতে দেখা যাবে রোগী প্রেগনেন্ট না। রোগীর তল পেটে কোন ফেটাস নেই।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে রোগীর পেটে বাচ্চা নেই কিন্তু প্রেগনেন্সি টেস্ট পজেটিভ আসলো কেন।
এটা যে স্ট্রিপ দিয়ে টেস্ট করা হয় সেই স্ট্রিপ আসলে বাচ্চা ডিটেকটর না।

একজন মহিলা যখন বাচ্চা কনসিভ করে তার ৬ দিনের মধ্যে human chorionic gonadotrophin (HCG) নামক একটি হরমোন নিঃসৃত হয় দেহ থেকে যা ইউরিন এর মাধ্যনে দেহ থেকে বের হয়। হরমনটি মূলত syncytiotrophoblast (প্লাসেন্টা অংশ) রক্ষার কাজে ব্যবহৃত হয়।

কিন্তু এই একই হরমোন অনেক টিউমার যেমন : Seminoma, choriocarcinoma, germ cell tumors, hydatidiform mole formation, teratoma with elements of choriocarcinoma, and islet cell tumor এর কারণেও নি:সৃত হতে পারে। তখন তো প্রেগনেন্সি টেস্ট পজেটিভ দেখাবে।

এইরকম পরিস্থিতিতে প্রথমেই অনেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নেই । আত্মহত্যা করা বা অন্য কিছু ঘটানোর আগে সিউর হোন।

আপনি সতর্ক হন আর অন্যকেও সতর্ক করুন , কে জানে এমন কিছু ঘটনা আপনার আশেপাশেই ঘটছে কিনা ।

সংগৃহিত

অবিবাহিত মেয়ের পিরিওড বন্ধ হয়ে গেছে। রোগী প্রেগনেন্সি টেস্ট পজেটিভ। অবিবাহিত মেয়ের পিরিওড বন্ধ হয়ে গেছে। রোগী প্রেগনেন্সি টেস্ট পজেটিভ। Reviewed by Dhuliyan City on 00:14 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.